কোরবানি ঈদে বেশি মাংস খাওয়ার স্বাস্থ্য ঝুঁকি

কোরবানির ঈদ মানেই পরিবার আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে আনন্দ ভাগাভাগি। আর এই আনন্দের বড়

অংশ জুড়ে থাকে গরু বা খাসির মাংস দিয়ে নানা রকম সুস্বাদু খাবার।কোরবানির ঈদ মানেই পরিবার

আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে আনন্দ ভাগাভাগি। আর এই আনন্দের বড় অংশ জুড়ে থাকে গরু বা খাসির মাংস

দিয়ে তবে অতিরিক্ত মাংস খাওয়া অনেক সময় শরীরের জন্য বিপদ ডেকে আনতে পারে।

এই ব্লগে আমরা জানবো:

• বেশি মাংস খাওয়ার স্বাস্থ্যঝুঁকি
• ঈদে সুস্থ থাকার সহজ উপায়
• কারা বেশি সতর্ক থাকবেন 

বেশি মাংস খাওয়ার সাধারণ স্বাস্থ্য ঝুঁকি :

১. হজমের সমস্যা
ঈদের দিনে সাধারণত তেল ও ঝালযুক্ত খাবার বেশি খাওয়া হয়। এতে গ্যাস, অম্বল, বুক জ্বালাপোড়া, কিংবা

বমি হতে পারে।

২. উচ্চ রক্তচাপ ও কোলেস্টেরল
খাসির মাংসে চর্বি বেশি থাকে, যা উচ্চ রক্তচাপ বা হৃদরোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।

৩. ডায়াবেটিসের নিয়ন্ত্রণে সমস্যা
মাংসের পাশাপাশি পোলাও, সেমাই বা মিষ্টি জাতীয় খাবারের কারণে রক্তে শর্করার পরিমাণ হঠাৎ বেড়ে যেতে পারে।

এটি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খুবই ঝুঁকিপূর্ণ।

৪. কিডনির ওপর চাপ
প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন গ্রহণে কিডনির ওপর বাড়তি চাপ পড়ে। যাদের কিডনি সমস্যা আছে, তাদের জন্য এটা

হতে পারে বিপজ্জনক।

ঈদে সুস্থ থাকার সহজ উপায় :

১. পরিমিত পরিমাণে মাংস খান

একবারে বেশি না খেয়ে দিনে ২–৩ বারে ভাগ করে মাংস খান এবং প্রতিবারে মাংসের সাথে প্লেটে সবজি ও সালাদ রাখুন।

২. পর্যাপ্ত পানি পান করুন
খাবারের সঙ্গে ও মাঝে মাঝে পানি পান করলে হজমে সাহায্য হয় ও শরীর হাইড্রেট থাকে।

৩. হাঁটার অভ্যাস গড়ুন
প্রতিদিন অন্তত ১৫–২০ মিনিট হাঁটলে হজম ভালো হয় এবং গ্যাস বা অস্বস্তি কমে।

৪. দই, লেবু, টক জাতীয় খাবার রাখুন
এগুলো হজমে সাহায্য করে এবং শরীরের উষ্ণতা কমায়।

৫. অতিরিক্ত চর্বিযুক্ত অংশ পরিহার করুন
গরু বা খাসির মাংসের চর্বিযুক্ত অংশ যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলুন।

কারা বেশি সতর্ক থাকবে এবং কেন ?

১. ডায়াবেটিস রোগী:
মাংস ও মিষ্টি বেশি খেলে রক্তে শকর্রার পরিমান বেড়ে যেতে পারে, যা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সমস্যা করে।

২. উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদরোগ:
চর্বিযুক্ত মাংস খেলে রক্তচাপ বাড়তে পারে এবং হার্টের সমস্যা বাড়ে।

৩. কিডনি রোগী:
অতিরিক্ত প্রোটিন কিডনির ওপর চাপ সৃষ্টি করে, তাই মাংস খাওয়ার পরিমাণ কমাতে হবে।

৪. বয়স্ক ও ছোট শিশু:
হজম দুর্বল হওয়ায় বেশি মাংস খাওয়া তাদের জন্য সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।

শেষ কথা

ঈদ মানে আনন্দ, কিন্তু সেই আনন্দ যেন শরীরের জন্য কষ্টের কারণ না হয়। পরিমিত খাওয়া, সচেতনতা এবং

কিছু সহজ নিয়ম মানলে আপনি এবং আপনার প্রিয়জনেরা ঈদে থাকতে পারেন সুস্থ ও নিরাপদ।